বাংলাদেশে ফেসবুকের বিকল্প তৈরি করতে হবে: মোস্তাফা জব্বার
Published on Tuesday, April 30, 2019 at 3:05 pm

এমসি ডেস্ক: প্রচলিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাথে ডিজিটাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বড় এবং সহজ পার্থক্যটি হলো, মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইন্টার্যাক্ট করতে পারে। মানুষ ইন্টার্যাক্ট করতে পারে বলেই যে প্রতিষ্ঠানটির টিকে থাকার কথা ছিল না সেটি (ফেসবুক) বিলিয়নস অব ডলারের কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। কথগুলো বলেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রযুক্তি বিষয়ক
সাংবাদিকদের সংগঠন ‘টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশ’- টিএমজিবি আয়োজিত ‘
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন: গণমাধ্যমের সংকট ও করণীয়’ শীর্ষক
গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী আরো বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সীমানা তৈরি করা বা পাহারা
দেওয়ার সুযোগ নেই। ডিজিটাল দুনিয়ায় যোগ্যতা দিয়ে টিকে থাকা এবং যোগ্যতা
অর্জন করার জন্য প্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে হবে। খুব বুদ্ধিমত্তার সাথে
প্রযুক্তিকে সামনে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এমনভাবে বাণিজ্যিকীকরণ
হচ্ছে যা অন্য যেকোন গণমাধ্যমের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই
চ্যালেঞ্জ প্রযুক্তি দিয়েই মোকাবেলা করতে হবে।
পৃথিবী একদিন কাগজবিহীন হবে উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমরা
ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করেছি। ডিজিটাল অনিবার্য এবং রূপান্তর এখন অনিবার্য।
এটি কেবল গণমাধ্যম নয় ,এটি আমাদের জীবনযাপন, প্রচলিত শিক্ষা,অর্থ-বাণিজ্য
নিরাপত্তা যেদিকেই তাকাই না কেন এসবের ডিজিটাল রূপান্তর অনিবার্য হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, পৃথিবীর ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিনতম কাজ। একাজটি
এককভাবে করা আরও কঠিন। সেই কারণে প্রযুক্তিকে ঠেকানো সম্ভব হবে না। আমরা
প্রযুক্তি দিয়েই প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার চেষ্টা করব। এক্ষেত্রে
চীনের নিজস্ব সামাজিক মাধ্যম উইচেট এর দৃষ্টান্ত তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন,
বাংলাদেশে বাংলা ভাষায় স্থানীয় বিষয়বস্তু দিয়ে এমন একটি প্লাটফর্ম তৈরি
করতে হবে যা বাংলাভাষী মানুষদের জন্য আকর্ষণ তৈরি করতে পারে।
গত দশ বছরে দুরদৃষ্টি সম্পন্ন কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ফলে
তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে বাংলাদেশের অগ্রগতি বর্ণনা করে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে প্রযুক্তিতে শতশত বছর
পিছিয়ে থেকেও বাংলাদেশ বিশ্বের ৮০টি দেশে সফটওয়্যার রপ্তানি করছে।
আয়ারল্যান্ড এবং মহারাষ্ট্রের পুলিশ বাংলাদেশের সফটওয়্যার ব্যবহার করছে।
একদিন আমাদের সন্তানদের তৈরি সামাজিক মাধ্যম নিয়ে সারা দুনিয়া আলোচনা করবে।
Leave a Reply