পাখি আর বনসাই-এর পাগল হাসান গাজী!
Published on Thursday, January 5, 2017 at 8:46 am
এমসি নিউজ : দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ি পৌরসভার পূর্ব কাঁটাবাড়ীর একটি বাড়ির পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে শোনা যায় পাখির কিচিরমিচির আওয়াজ। ভিতরে ঢুকতেই সেই আওয়াজ আরো বেড়ে গেল। বাড়ির আংগিনার দক্ষিণ পাশ পুরোটাই কাঠ, লোহার শিক, বাঁশ দিয়ে তৈরি পাখিদের কলোনি। বিভিন্ন রংয়ের দেশি ও বিদেশি পাখির সমাহার কলোনিতে। এই বাড়ির ছেলে হাসান গাজী। কথা হয় তার সাথে। তিনি জানান, নিত্যান্ত শখের বশে পাখি পোষা শুরু করলেও এখন এটি তার নেশা ও পেশা।
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাখি প্রেমিরা আসেন পাখির কিনতে। এখানে আছে লাভবার্ড, বাজেরিগার, জাভা, ককাটিয়েল, ফিন্স, ডাভ আর বিভিন্ন প্রজাতির কবুতর। জোড়া প্রতি এক হাজার টাকা হতে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। তিনি আরো জানান, অনেক যত্ন করতে হয় পাখিদের। তা না হলে ফ্লুতে পাখিরা সব মারা যেতে পারে। পাখিদের স্বাস্থ্য সম্মত খাদ্যের প্রয়োজন। সেই খাদ্য আনতে হয় ঢাকা থেকে।
পাখির পালনের পাশাপাশি হাসানের আরো একটি শখ আছে। বনসাই তৈরি করা। তার বাবা তাকে এই কাজ শিখিয়েছে। তার জন্মের সময়কার বনসাই সংগ্রহে আছে। তার বাড়ির উঠোনের অর্ধেক অংশ জুড়ে বনসাই এর বাগান। হিজল, মহুয়া, বট, পাকড়, অর্জুন, কামিনী, কেওড়া ইত্যাদি গাছের বনসাই রয়েছে তার সংগ্রহে। কোন কোন বনসাই এর বয়স কুড়ি বছর থেকে পঁচিশ বছর। সে তার বনসাই নিয়ে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যান প্রদর্শনীর জন্য।
পাখি ও বনসাই নিয়ে হাসান তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানিয়ে বলেন, পাখিদের অভয়ারণ্য ও মিনি বনসাই তৈরী করে তার মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করা।
Leave a Reply