দিনাজপুরে সেই মুক্তিযোদ্ধার ঘটনায় এসিল্যান্ডসহ দু’জন প্রত্যাহার
Published on Monday, October 28, 2019 at 6:09 pm
সরকার মোঃ কামরুজ্জামানঃ দিনাজপুরে ছেলের চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেনের মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রত্যাখ্যানের ঘটনায় সেই এসিল্যান্ড আরিফুল ইসলাম এবং জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার মহসেন উদ্দিনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের গঠন করা তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. জাকির হোসেন তাদের প্রত্যাহার করেন।
তবে জেলা প্রশাসককে প্রত্যাহারের দাবিতে ডিসি অফিস চত্বরে সোমবারও প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। এছাড়া জেলা প্রশাসকসহ ইউএনও এবং সেই এসিল্যান্ডকে অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটি ঢাকায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
অন্যদিকে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেনের কবর জিয়ারত ও তার স্বজনদের সাথে কথা বলেছেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এবং রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কে. এম. তারিকুল ইসলাম।
ওই মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুর আগে এক চিঠিতে স্থানীয় এমপি ইকবালুর রহিমকে দেয়া এক চিঠিতে লিখেছিলেন: জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে হঠাৎ যদি আমার মৃত্যু হয়, আমাকে যেন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন না করা হয়। কারণ এসিল্যান্ড, ইউএনও, এডিসি, ডিসি যারা আমার ছেলেকে চাকরিচ্যুত, বাস্তুচ্যুত করে পেটে লাথি মেরেছে, তাদের সালাম-স্যালুট আমার শেষ যাত্রার কফিনে আমি চাই না।
দিনাজপুর আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ’তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাতীয় সংসদের হুইপকে এ চিঠি লিখেছিলেন তিনি। ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ছাড়াই সমাহিত করা হয় মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেনকে। এ ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়।
রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ছাড়াই মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেনের দাফনের বিষয়টি মুক্তিযোদ্ধা ও জেলাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। ডিসিকে প্রত্যাহারের দাবিতে ডিসি অফিস চত্বরে সোমবার প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন মুক্তিযোদ্ধারা।
এমন প্রেক্ষাপটে জেলা প্রশাসন ছেলের হারানো চাকরি ও বাড়ি ফেরত দিতে চাইলেও তা প্রত্যাখান করেন মুক্তিযোদ্ধার পরিবার। পরিবারটি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি করেন।
আলোচিত এসিল্যান্ড আরিফুল ইসলামসহ তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ করেছেন চাকরিচ্যুত নুর ইসলাম ।
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দিয়ে এক সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করার কথা বললেও তা ফাইলবন্দী রয়েছে।
Leave a Reply