দিনাজপুরে বিশ্বব্যাপী স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস উপলক্ষে শোভাযাত্রা ও সেমিনার অনুষ্ঠিত
Published on Saturday, October 12, 2019 at 8:40 pm
মাহবুবুল হক খান, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ “ শ্রেষ্ঠ খাবার মায়ের দুধই সব শিশুকে তাই খাওয়াই, স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাই” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে সারা দেশের ন্যায় দিনাজপুরে বিশ্বব্যাপী স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস-২০১৯ উপলক্ষে শোভাযাত্রা ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১২ অক্টোবর) এ উপলক্ষে দিনাজপুর খুরশীদ জাহান হক ইনস্টিটিউট অব ক্যান্সার রিসার্চ এন্ড হাসপাতাল ও দিনাজপুর কেয়ার নার্সিং কলেজ’র উদ্যোগে গোলাপী শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণ থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শহর প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রা শেষে দিনাজপুর কেয়ার নার্সিং কলেজের হল রুমে “স্তন ক্যান্সার এক নীরব ঘাতক, সঠিক সময়ে সনাক্ত হলে যার প্রতিকার সম্ভব” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ও প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ও বাংলাদেশ স্তন ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের প্রধান সমন্বয়কারী ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন। দিনাজপুর খুরশীদ জাহান হক ইনস্টিটিউট অব ক্যান্সার রিসার্চ এন্ড হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি একেএম আজাদ’র সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রোটারি ক্লাব অব ঢাকা গোল্ডেন সিটির সাবেক প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আফতাবুজ্জামান, রোটারি ক্লাব অব ঢাকা কসমো পলিটন’র সেক্রেটারী ইকবাল মাহমুদ, রোটারি ক্লাব অব ঢাকা রোজভ্যালী’র প্রেসিডেন্ট ডা. ফায়েজা ইলা কামাল, ক্যান্সার প্রতিরোধ ও গবেষণা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মোসারেদ জাহান সৌরভ, হীল এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জেবুন্নেসা প্রমূখ। শোভাযাত্রা ও সেমিনারে দিনাজপুর খুরশীদ জাহান হক ইনস্টিটিউট অব ক্যান্সার রিসার্চ এন্ড হাসপাতালের কোষাধ্যক্ষ খালেকুজ্জামান নান্নু, নির্বাহী সদস্য আবু তাহের আবু, মিসেস নাজমা মশির, আলহাজ্ব মো. আবু বকর সিদ্দিক, দিনাজপুর কেয়ার নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ ড. জেরিনা খাতুন, প্রধান সহকারী মো. শাহজাহান আলীসহ ঢাকা থেকে আগত বাংলাদেশ স্তন ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের ১৬ সদস্যের একটি দল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ শফিকুর রহমান পিন্টু।
সেমিনারে ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন বলেন, শরীরের অন্যান্য স্থানের মত স্তনের অ¯^াভাবিক কোষ বাড়ার কারণে বা কোন চাকা বা পিন্ডের সৃষ্টি হলে তাকে টিউমার বলে। শরীরের বিনা প্রয়োজনে অনিয়ন্ত্রিত কোন কোষ বিভাজন থেকে এর সৃষ্টি। প্রকৃতি বা বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী স্তনের টিউমার ২ ধরনের। বিনাইন টিউমার যা অক্ষতিকারক, উৎপত্তিস্থলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, দুরে বা কাছের অন্য কোন অঙ্গ-প্রতঙ্গকে আক্রান্ত করে না। অপরটি ম্যালিগন্যান্ট টিউমার আগ্রাসী, ক্ষতিকর। উৎপত্তিস্থলের সীমানা ছড়িয়ে আশপাশের অঙ্গ প্রতঙ্গ কিংবা গ্রন্থি আক্রান্ত করে, এমনকি রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে দূরের কোন অঙ্গও আঘাত হানতে পারে।
স্তনের ম্যালিগন্যান্ট টিউমারকেই ক্যান্সার বলা হয়। স্তন ক্যান্সারের লক্ষন-স্তনে চাকা বা পিন্ড, নিপল বা বোঁটা, ভেতরে ঢুকে যাওয়া, অসমান বা বাঁকা হয়ে যাওয়া, নিপল দিয়ে অস্বাভাবিক রস বা রক্তক্ষরণ হওয়া, চামড়ার রং বা চেহারার পরিবর্তন এবং বকলতাং পিন্ড বা চাকার লক্ষন দেখা যায়। ক্যান্সার সম্পর্কে সকলকে সচেতন হওয়ার আহবান জানান তিনি।
Leave a Reply