দিনাজপুরে আইহাই গ্রামে সন্ত্রাসী কায়দায় দেবোত্তর জমি দখলের অপচেষ্টা থানায় অভিযোগ দায়ের
Published on Tuesday, June 2, 2020 at 8:31 pm
মোঃ জাহিদ হোসেন দিনাজপুর থেকে : দিনাজপুর সদর উপজেলার ১০ নং কমলপুর
ইউনিয়নের আইহাই গ্রামে একটি কুচক্রী মহল দেবোত্তর জমি দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
এ ব্যাপারে কোতয়ালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, দিনাজপুর সদর উপজেলার ১০নং কমলপুর ইউনিয়নের আইহাই
গ্রামে পরেশ ও হরিশ রায়সহ ৮/১০ জনের একটি কুচক্রী মহল সন্ত্রাসী কায়দায় দেবোত্তর
জমি দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে শ্রী শ্রী আইহাই শিব মন্দির সাধারণ সম্পাদক ও
সেবাইত নীলকান্ত রায় জানান, এই মন্দিরের নামে দেবোত্তর সম্পত্তিগুলো কমিটির
লোকজন শান্তি পূর্ণভাবে দেখাশুনা করে আসছে। হঠাৎ পরেশ ও হরিশ রায়সহ ৮/১০ জনের
একটি সংঘবদ্ধ কুচক্রী মহল দেবোত্তর সম্পত্তিতে ভাগ বসানোর জন্য নীলনকশা অবলম্বন
করে। নীলকান্ত রায় আরও বলেন, দেবোত্তর সম্পত্তির ভিতরে আবাদী জমি ও পুকুর আমরা
সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় চাষাবাদ করে আসছি। উক্ত আবাদী জমি ও পুকুর চাষাবাদের অর্থ
দিয়ে আমরা সবাই মিলে দেখাশুনা ও মন্দিরের সব ধরনের পূজা অর্চনা সুষ্ঠুভাবে পালন করে
আসছি। কিন্তু ঐ কুচক্রী মহল গত ২/৩ বছর পরে আমাদেরকে সহায়তা করছে না। গত ২৮ মে
সকাল প্রায় ১০ টায় সেবাইত নীলকাš— রায় কুচক্রী মহলের সাথে কথা বলার সাথে সাথে
তারা প্রাপ্তি হয়ে এলোপাথারীভাবে কিলু-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে তাদের
হাতে থাকা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় গুর“ত্বর রক্তাক্ত জখম করে। তাদের আঘাতে
নীলকান্ত মাটিতে লুটিয়ে পড়ে কাতরাতে থাকে। নীলকান্ত রায়ের আত্মচিৎকারে
আশেপাশের লোকজন তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তারা তাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে
আরও ২/৩ জনকে আহত করে। আহতদের সকলের আত্মচিৎকারে চারদিক থেকে গ্রামের
লোকজন ছুটে আসতে দেখলে ঐ কুচক্রী মহল তাদের দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ পালিয়ে যায়।
এলাকাবাসী আহতদের সু-চিকিৎসার জন্য সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে
নীলকান্ত রায় বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় তাদের বির“দ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের
করেছে। আরও জানা যায়, ইতিপূর্বে তারা দূর্গাপূজার উৎসব ভন্ডুল করার জন্য সন্ত্রাসী
কার্যকলাপ চালিয়েছিল। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য
উর্দ্ধতন সংশিষ্ট প্রশাসনের জর“রী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন আইহাই শিব মন্দিরের
সাধারণ সম্পাদক ও সেবাইত নীলকান্ত রায়সহ কমিটির লোকজন।
Leave a Reply