খালেদা জিয়ার খনি দুর্নীতি মামলায় চার্জ শুনানি ৭ অক্টোবর
Published on Thursday, September 5, 2019 at 6:19 pm
এমসি ডেস্কঃ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলায় চার্জ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ পিছিয়েছে। আগামী ৭ অক্টোবর পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার কেরানীগঞ্জ কারাগারে নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক এ এইচ এম রুহুল ইমরান আসামিপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে এ তারিখ ঠিক করেন।
এদিন এ মামলায় চার্জ শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে আদালতে হাজির করেনি কারা কর্তৃপক্ষ। এজন্য তার পক্ষে জিয়া উদ্দিন জিয়া, হান্নান ভূঁইয়া, আব্দুল খালেক মিলন, তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ প্রমুখ আইনজীবী শুনানি পেছানোর আবেদন করেন।
শুনানি শেষে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী চার্জ শুনানির এ তারিখ ধার্য করেন।
এ মামলায় আসামি ছিলেন ১৩ জন। জামায়াতে ইসলামীর নেতা নিজামী ও মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় বর্তমানে আসামি ১১ জন। সম্প্রতি আরেক আসামি ব্যারিস্টার আমিনুল হক মারা গেছেন।
আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়া, প্রাক্তন বাণিজ্যমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, প্রাক্তন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, প্রাক্তন তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, প্রাক্তন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার মো. আমিনুল হক, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, প্রাক্তন জ্বালানি ও খনিজসম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার প্রাক্তন পরিচালক মুঈনুল আহসান, প্রাক্তন জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশারফ হোসেন।
২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনকে (সিএমসি) বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির অনুমোদন দিয়ে কয়লা উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি হয়।
পরে এ মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন।
Leave a Reply