একটি অপবাদে তিনটি প্রাণহানি
Published on Monday, February 3, 2020 at 7:55 pm
এমসি ডেস্কঃ একটি অপবাদ যে কতটা অপমানজনক হতে পারে তা- নিজের তো বটেই দুই সন্তানের প্রাণ কেড়ে নিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন জুলেখা খাতুন। ঘটনাটি ঘটেছে যশোরের শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামে।
স্বামী আল মামুন জানান, জুলেখা সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। তার শাশুড়ি রোজার মাসে তার স্ত্রীকে একটি সোনার চেইন দিয়েছিলেন। কয়েক মাস আগে লক্ষণপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মো. আলাউদ্দিনের মেয়ে জুলি বেগমের (২২) একটি সোনার চেইন চুরি হয়ে যায়। শনিবার সকালে মেয়ে আমেনা (৪) চকলেট কিনতে মো. আলাউদ্দিনের দোকানে যায়। আমেনার গলায় তার মায়ের সোনার চেইন ছিল। এ সময় জুলি আমেনার গলা থেকে তার চুরি যাওয়া সোনার চেইন মনে করে চেইনটি জোর করে খুলে নেয়। পরে এই নিয়ে জুলেখা খাতুনের সঙ্গে জুলি বেগমের কথা কাটাকাটি হয়। এমনকি জুলি বেগম চেইনটি নিয়ে নেয়। মামুন আরও বলেন, (রোববার) সকালে তিনি রাজমিস্ত্রির কাজে যান। আর এ ফাঁকে অপমান সইতে না পেরে জুলেখা মেয়েকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করে।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। রোববার গণমাধ্যমকে তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, মেয়ে আমেনাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার পর গলায় ফাঁস দিয়ে জুলেখা খাতুন আত্মহত্যা করেছেন। এ ব্যাপারে জুলি বেগম ও তার মাকে পুলিশ হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুটি মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও ওইদিন জানান তিনি।
আশপাশের লোকজনের ধারণা, চুরির অপবাদ সইতে না পেরে মেয়েকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন জুলেখা।
Leave a Reply